বিশ্বের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ১১ নম্বরে উঠে এলেন মুকেশ আম্বানি
ফোর্থ পিলার
মোট সম্পদের মূল্য ৪.৫৮ লক্ষ কোটির সীমা ছাড়ানোর পরেই শুক্রবার বিশ্বের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ১১ নম্বরে উঠে এলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড(আরআইএল)-এর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। ব্লুমবার্গ সূচক অনুযায়ী, গতকালের থেকে মুকেশ আম্বানির সম্পদ একলাফে বেড়েছে প্রায় ৮,৮৩,৫৬,০০০ টাকা এবং আরআইএলের শেয়ার মূল্য হয়েছে প্রায় ১৭৩৭.৯৫ পয়েন্ট। বর্তমানে বাজারে আরআইএলের বিনিয়োগের পরিমাণ আকাশছোঁয়া ১১.৫০ লক্ষ কোটি টাকা।
১১ নম্বরে উঠে এসে মুকেশ আম্বানি পিছনে ফেললেন স্পেনের সংস্থা ‘জারা’-এর কর্ণধার অ্যামানসিও অর্তেগাকে। শুক্রবার একটি বিবৃতি মারফত মুকেশ আম্বানি জানান, “শেয়ারহোল্ডারদের দেওয়া কথা আমরা রাখতে পেরেছি। ২০২১-এর ৩১শে মার্চের লক্ষ্যসীমার অনেক আগেই আমরা সফল হলাম।”
বিবৃতিতে আরআইএলের সর্বেসর্বা মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, “রিলায়েন্সের জন্যে এটা সুবর্ণ দশক। আরআইএল আরও অনেক সুবর্ণ উদাহরণ তৈরি করবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২১শে এপ্রিল জিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ৯.৯৯% ফেসবুক ৪৩,৫৭৪ কোটি টাকার কেনার পরেই আরও ৯টি বহুজাতিক সংস্থা জিওর শেয়ার কেনে, ফলত জিও বাজার থেকে সংগ্রহ করে প্রায় ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। ফলে ১,৬১,০৩৫ কোটি টাকার দেনা মেটাতে সক্ষম হয়েছে আরআইএল। মুকেশ আম্বানির সংস্থার কথা ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও।
এই প্রসঙ্গে মুকেশ আম্বানি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ক্রেতাদের সহায়তায় নতুন পদক্ষেপ আনছি আমরা। এক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে উদ্যোগ নেব আমরা।” এঞ্জেল ব্রোকিং নামক সংস্থার ডিভিপি ইক্যুইটি স্ট্র্যাটেজিস্ট জ্যোতি রায় জানান, “এত বৃহৎ বৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিনিয়োগে যে শুধুই ঋণের বোঝা নেমেছে তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জিওর নাম ভরসাযোগ্য বলেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
মুকেশ আম্বানি আরও জানান, “ভবিষ্যতে সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে রিটেইল ব্যবসা ও ডিজিটাল মাধ্যমের উপর আরও জোর বাড়াতে হবে।”